শাখা নিয়ে বিড়ম্বনায় ভিকারুননিসায় ভর্তিচ্ছুরা
প্রকাশিত : ১২:৪৭, ২৯ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১২:৫৫, ২৯ জুন ২০১৮
নিজের পছন্দের কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সুযোগ পেয়েও পছন্দের ক্যাম্পাসে ভর্তি না হতে পারে বিড়ম্বনায় পড়ছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
কারণ রাজধানীর চার এলাকায় কলেজটির চারটি শাখা থাকায় এ বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। অনলাইনে কলেজ পছন্দ করা গেলেও ক্যাম্পাস পছন্দের কোনও অপশন নেই।
ফলে শিক্ষার্থীরা কোন শাখায় ভর্তি হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে এ বিড়ম্বনা। অভিবাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মূল ক্যাম্পাসের আশেপাশে বাসা হওয়ায় সেখানে ভর্তির আবেদন করেছিল। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ অন্য ক্যাম্পাসে পাঠাচ্ছে। আর কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, সবাইকে তো মূল ক্যাম্পাসে ভর্তি করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দুপুরে বেইলি রোডে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
অভিভাকদের অভিযোগ, একাদশ শ্রেণিতে সন্তানকে ভর্তির জন্য তারা ভিকারুননিসা কলেজ পছন্দ করেছেন এবং সুযোগও পেয়েছেন। সে অনুযায়ী, সন্তান নিয়ে বেইলি রোডে ভিকারুননিসার মূল ক্যাম্পাসে ভর্তির জন্য যান। ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে দেখছে কোন শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষার্থীরা। যারা বাইরের প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে তাদেরকে মূল ক্যাম্পাসে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তাদেরকে পাঠানো হচ্ছে আজিমপুর ও বসুন্ধরা ক্যাম্পাসে।
একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,এটা অনলাইন ভর্তির বিড়ম্বনা। অনলাইনেই যদি উল্লেখ করে দেওয়া হতো,কে কোন ক্যাম্পাসে ভর্তি হবে। তাহলে কলেজের পাশাপাশি ক্যাম্পাসও নির্ধারণ করে আবেদন করা যেতো। এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি উল্টো ক্যাম্পাস নির্বাচন করে দেওয়ায় তারা সন্তান নিয়ে বিপদে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, ভর্তির জন্য কলেজটিতে গেলে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরাও অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তারা বলেন, ‘ভর্তির বিষয়ে কোনও সহযোগিতা না করে উল্টো গ্রামের শিক্ষার্থী বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস নবলেন, ‘অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট করে দেওয়া নেই,কে কোন ক্যাম্পাসে ভর্তি হবে। কলেজের আরও চারটি শাখা রয়েছে। সবাইকে তো বেইলি রোডের মূল ক্যাম্পাসে ভর্তি করা যাবে না। ফলে বাকি শাখাগুলোয়ও ভর্তি হতে হবে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া কোনও উপায় নেই।’
শিক্ষক-কর্মচারীরা অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে এমন কিছু কেউ করেনি।’
এদিকে, অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিবাবক ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবীর দুলু। তিনি বলেন, ‘একটি কলেজের কর্তৃপক্ষ কখনোই অভিভাবকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে পারে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
ভর্তির এমন বিড়ম্বনার বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর জানান,ভর্তিতে ক্যাম্পাসের শাখা আছে কী নেই সেটা হিসাব-নিকাশ করে আবেদন নেওয়া হয়নি। ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়েছে কলেজের নাম অনুসারে। এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ যাকে যে ক্যাম্পাসে ভর্তি নিতে পারে,তাদের ব্যাপার। তবে বোর্ডে তালিকা অনুযায়ী সবাইকে ভর্তি নিতে হবে।
টিআর/
আরও পড়ুন